রাজধানীর বনানীর বহুতল ভবনে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও অর্ধশত মানুষকে।
গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ আছে ইউনাইটেড হাসপাতালে। আরও ১৭ জনকে আহত বা অসুস্থ অবস্থায় সেখানে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউনাইটেড হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার জানান, সেখানে যে তিনজনের মৃতদেহ রয়েছে, তাদের সবাই পুরুষ, তাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে আগুনে পুড়ে, বাকিদের অন্য ইনজুরি ছিল। নিহতদের একজনের নাম মনির।
আরও একজনের মৃতদেহ গুলশানের অ্যাপলো হাসপাতালে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাটারা থানার ওসি কামরুজ্জামান। তিনি এর বেশি তথ্য দিতে পারেননি।
কুর্মিটোলা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুননবী জানান, অন্তত ৩০ জনকে তার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে নিরাস চন্দ্র নামের এক শ্রীলঙ্কান নাগরিককে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
“সে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন। মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতাল আনা হয়।”
যাদের কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ কেউ নেই। অধিকাংশই ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অথবা লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন বলে জানান পরিচালক।
এদিকে এফআর টাওয়ার থেকে উদ্ধার করে পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মধ্যে একজনকে বার্ন ইউনিটে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সর্দার জানান, আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৩২)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভনিং এমবিএ করছিলেন।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, আব্দুল্লাহ আল ফারুকের শরীর ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এছাড়া শ্রীলংকান নাগরিক সিরি ইন্দ্রিকা (৪৬), আবু হোসেন (৩৫), সাব্বির আলী মৃধা (২৫) ও রেজোয়ান আহমেদ (৩৭) শরীরে জখম ও আঘাত নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা সবাই এফআর টাওয়ারের বিভিন্ন অফিসে কাজ করতেন।
সূত্র, বিডিনিউজ২৪.কম